সোনারগাঁও প্রতিনিধি: বাংলার প্রাচীন রাজধানী হিসেবে পরিচিত সোনারগাঁও। বারো ভুঁইয়া ও প্রাচীন ঐহিহ্যের শৌর্যবীর্যের নানা নিদর্শন আজও বিদ্যমান এই জনপদে। এখানের তৈরী তৈজসপত্রের চাহিদা আজও সারা দেশে রয়েছে। পুরাতন রাজধানী হিসেবে সোনারগাঁওয়ের পরিচিতি রয়েছে সারা দেশে। দেশী বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষন করার মত অনেক ঐতিহাসিক উপাদান রয়েছে এই উপজেলায়। কালের বিবর্তনে রাজধানী হারিয়ে গেলেও পুরোনা অনেক নিদর্শন ও প্রত্নসম্পদ আজও বিদ্যমান সোনারগাওয়ের আনাচে কানাচে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর রয়েছে এখানে। যা মানুষকে আকৃষ্ট করে।
জাদুঘর থেকে একটু দুরে অবস্থিত বারদীতে রয়েছে লোকনাথ ব্রম্মচারীর আশ্রম। কথিত আছে ভারত বর্ষ থেকে এসে লোকনাথ ব্রম্মচারী এখানে অবস্থান করেন এবং এই আশ্রমটি গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে এখানেই তিনি ইহ লোক ত্যাগ করেন। তিনি ইহ লোক ত্যাগ করলেও তার আশ্রমে এখনও দেশ বিদেশের বহু পর্যটকের সমাগম হয় প্রতিবছর। এখনে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার কবুতর পর্যটকদের বাড়তি আনন্দের খোরাক জোগায়। ব্রম্মচারীর আশ্রমে এখনও বহু লোক আসে গুরুর আর্শীবাদ পেতে।
এই আশ্রম থেকে অল্প দূরেই পচশিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর বাড়ি। বাড়িটিতে রয়েছে পাকা ভবন, রয়েছে লাইব্রেরী । অযত্নে আর অবহেলায় জনশুন্য অবস্থায় পড়ে আছে বাড়িটি। জেলা পরিষদের আওতাধীন বাড়িটিতে কর্তৃপক্ষের তেমন কোন নজরদারী নেই।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, বাড়িটির যথাযথ রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে সোনারগাঁয়ের বারদী থেকে প্রায় মুছে যাচ্ছে জ্যোতি বসুর নাম। দেখার যেন কেউ নেই। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িটিতে মাত্র তিনজন কর্মকর্তা আছেঙ। তাদের কোন কাজ নেই। সরকার গুরুত্ব সহকারে ঐতিহাসিক এই বাড়িটি রক্ষনাবেক্ষণের ব্যবস্থা করবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের দাবি, জ্যোতিবসুর বাড়িটি যেন অযত্নে-অবহেলায় হারিয়ে না যায় এবং চিরদিন যেন স্বর্নাক্ষরে বারদীতে লেখা থাকে জোতি বসুর নাম।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হলে, তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট চন্দন শীল বলেছেন, তিনি এ ব্যাপারে শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবেন ।
ক্লিক নারায়াণগঞ্জ/৩১ মে/প্রতিনিধি/এমএস